ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত টাকা যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত টাকা ,
তবে এর ভিন্নতা রয়েছে যা আপনাকে সঠিক ভাবে আগে জানতে হবে। এরপর আপনি ঘরে বসে অনলাইনে অথবা স্থানীয় নির্বাচন কমিশন দপ্তরে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি এর বেশ কয়েকটি ধরন রয়েছে। সংশোধন এর উপর নির্ভর করবে কত টাকা ফি প্রয়োজন হবে। এবং অফিসিয়াল ভাবে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন ওয়েবসাইট তাদের সাইট জানিয়ে দিয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি ২০২৩।
ভোটার আইডি কার্ড প্রথমবার তথ্য সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা। দ্বিতীয় বার সংশোধনের জন্য আবেদন করলে ৩৪৫ টাকা। এবং তারপর পরবর্তী আবেদনের জন্য ৫৭৫ টাকা করে ফি জমা দিতে হবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য।
তবে এখানে বেশ কিছু ভাব এবং নিয়ম রয়েছে আপনি এর ভিতরে যে আবেদন করবেন আইডি কার্ড তথ্য সংশোধনের জন্য সেক্ষেত্রে চার্জ অথবা ফি পরিবর্তন হতে পারে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করব ভোটার আইডি কার্ডের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিবর্তনের জন্য কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন বোর্ডকে।
ভোটার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধন ফি ২০২৩
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য যে রয়েছে এটি আমরা সকলে জানি। যদি আপনি এর মধ্যে কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান যেমন আপনার নাম বা আপনার পিতা মাতার নামে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে এইগুলো যদি আপনি ঠিক করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে ২৩০ টাকা।
এবং অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এখানে কিন্তু শুধুমাত্র নাম সংশোধন বা তথ্য সংশোধনের জন্য ২০০ টাকা নেওয়া হবে। বাকি বাকি ৩০ টাকা ভ্যাট হিসেবে কাটা হবে। আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সাধারণ এই তথ্যগুলি পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমবারের জন্য ২৩০ টাকা সর্বমোট প্রদান করতে হবে।
আরোও পড়ুন: ভোটার আইডি সংশোধন করার নিয়ম। ২০২৩
যেকোনো ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে আপনি চাইলে অফিসের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন। এবং আপনি ভোটার আইডি কার্ড আপনার ইচ্ছা মতো সংশোধন করতে পারবেন যদি কোন উপকার ভুল ত্রুটি পাওয়া যায় প্রতিবার কিন্তু ভিন্ন রকম ফি প্রদান করতে হবে।
অনেকেই হয়তোবা মনে করতে পারেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করতে প্রথমবার ২৩০ টাকা ফি জমা দিলে দ্বিতীয় বার কেনো বেশি ফি জমা দিতে হবে। এর কারণ হচ্ছে আইডি কার্ডের পুনরায় তথ্য যাচাই করবে এবং এভাবে যখন আপনি তৃতীয়বার পর্যন্ত আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন তখন আপনার ফি একই থাকবে।
অর্থাৎ যখন আপনি সর্বশেষ তৃতীয়বার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন। এবং তারপর কোনো তথ্য ধরনের সংশোধন করতে চান তবে একই ফ্রি প্রয়োজন হবে তখন আর ফি পরিবর্তন হবে না। এবং প্রতিবারের জন্য আপনাকে একই ফি প্রদান করতে হবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে।
ভোটার আইডি কার্ড অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি কত
আপনি যদি আপনি অন্যান্য কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান বা সংশোধন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কিন্তু খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না। ভোটার আইডি কার্ড অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি ১১৫ টাকা। তবে এখানে ভ্যাট রয়েছে ১৫% আপনাকে ভ্যাট দিতে হবে।
অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড অন্যান্য তথ্য সংশোধন এর জন্য ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে এবং বাকি ১৫ টাকা ভ্যাট , সর্বমোট ১১৫ টাকা দিতে হবে।
অন্যান্য তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। তবে আমরা জানার চেষ্টা করব ভোটার আইডি কার্ড সাধারণ তথ্য এবং অন্যান্য তথ্যের মধ্যে পার্থক্য কি এবং সেই তথ্যগুলি কি কি। যখন আপনি ভোটার আইডি কার্ডের কোন তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন বা সংশোধন করতে চাইবেন, সেই সময় অবশ্যই ওয়েবসাইট থেকে বর্তমান সময়ে সংশোধন ফি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভোটার আইডি কার্ড তথ্য ও অন্যান্য তথ্য কি কি।
অনেকেই হয়তো বা জানে না এখানে ধাপ রয়েছে দুটি। প্রথমটি হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ডের সাধারণ তথ্য এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে অন্যান্য তথ্য। তাহলে চলুন আমরা এই দুটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
ভোটার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধন –
- নাম। (বাংলা ইংরেজি)
- পিতা – মাতার নাম।
- ছবি ও স্বাক্ষর।
- জন্ম তারিখ।
- জন্ম স্থান।
- রক্তের গ্রুপ।
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা।
- লিঙ্গ।
উপরে যে তথ্যগুলি দেখতেছেন এইগুলো যদি আপনি সংশোধন করতে চান প্রথমবার আপনার প্রয়োজন হবে ২৩০ টাকা সর্বমোট। এবং দ্বিতীয়বার যদি আপনি এগুলো পরিবর্তন করেন তাহলে কিন্তু আমার আরো বাড়তি টাকা যোগ করতে হবে।
এগুলো কে সাধারণ তথ্য ভোটার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধন বলতে পারেন। এবং বাকি রইল অন্যান্য তথ্য যা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজন হবে ১৫০ টাকা। তাহলে চলুন আমরা ভোটার আইডি কার্ডের অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
ভোটার আইডি কার্ড অন্যান্য তথ্য সংশোধন –
- শিক্ষাগত যোগ্যতা।
- স্বামী – স্ত্রীর নাম।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- সনাক্তকরণ চিন্হ।
- পাসপোর্ট নাম্বার।
- মোবাইল নাম্বার।
- ধর্ম।
- পেশা।
এই গুলির মধ্যে যদি আপনি কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান অথবা নতুন করে যুক্ত করতে চান তাহলে ফি হিসেবে ১১৫ টাকা জমা দিতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আশাকরি আপনি সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আরোও পড়ুন: টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম।
ভোটার আইডি কার্ড মৌলিক তথ্য অর্থাৎ যা প্রিন্ট করা থাকে সেই গুলোর মধ্যে যদি কোনো তথ্য পরিবর্তন বা যুক্ত করতে চান তাহলে প্রথমবার ২৩০ টাকা দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা এবং তৃতীয়বার থেকে ৫৭৫ টাকা করে জমা দিতে হবে।
আশাকরি সবাই সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন, যদি বুঝতে কোনো সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করে আমাদের কে জানাতে পারেন আমরা চেষ্টা করবো সমাধান শেয়ার করার। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।