টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম।
টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম। কিভাবে করতে হয় যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো টোকেন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে অনলাইন থেকে সহজে উত্তোলন করবেন।
টোকেন দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন বা সংগ্রহ করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ভোটার আইডি কার্ড টোকেন বা স্লিপ থাকতে হবে। এটি ছাড়া কিন্তু আপনি কোন ভাবে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন না। যদি আপনি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন সেক্ষেত্রে।
টোকেন দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড।
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে জনপ্রিয় একটি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র নাম হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড। যেটি আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র নামে পরিচিত। যদি আপনি এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন এবং এখনো যদি এটি আপনার হাতে না পেয়ে থাকেন তাহলে এখনি অনলাইন থেকে nid উত্তোলন করতে পারবেন।
যখন আপনি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন অবশ্যই সেই সময় আপনাকে একটি টোকেন প্রদান করা হয়েছিল। জানি এখন চাইলে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং এটি যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন কোন সমস্যা বা ঝামেলা ছাড়াই।
আরোও পড়ুন: ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি।
প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন কাজে জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে হয়। তার মধ্যে এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ একটি কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট। এটি ছাড়া অনেক কাজ করা অনেকটাই মুশকিল হয়ে যায় অথবা পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হয় আমাদের সেই কাজগুলিতে।
যদি আপনি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন, এবং এখনো যদি এটি না পেয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন থেকে! আপনার কাছে থাকা টোকের নাম্বার দিয়ে বা স্লিপ ব্যবহার করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডটি উত্তোলন করতে পারবেন মাত্র ৫ মিনিটেই।
টোকেন দিয়ে কিভাবে এনআইডি কার্ড পাবো।
টোকেন দিয়ে কিভাবে আপনি এনআইডি কার্ড পাবেন। এর উত্তর হলো যদি আপনার কাছে টোকেনটি থাকে অর্থাৎ আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন! এবং সকল কাজ সম্পূর্ণ করার পরবর্তী সময় আপনাকে একটি স্লিপ বা টোকেন দেওয়া হয়েছিল, এবং বলা হয়েছিল এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্লিপ সেটি ব্যাবহার করে পরবর্তী সময়ে আপনি ভোটার আইডি কার্ড এর কপি উত্তোলন করতে পারবেন অনলাইনে থেকে।
সাধারণত যখন আপনি ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করবেন, তারপর পরবর্তী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনার সকল তথ্য সার্ভারে বা অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটির কপি বা ফটোকপি উত্তোলন করতে পারবেন। যেকোনো কাজে ব্যবহার করার জন্য (যদি সেটি সার্ভারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। )
অনেক ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড স্ট্যাটাস দেখে নিতে পারেন অথবা হটলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
তাহলে চলুন আমরা এখন জানার চেষ্টা করব কিভাবে আপনি টোকেন দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করবেন অনলাইন থেকে। এজন্য আমাদের ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি স্মার্ট ডিভাইস প্রয়োজন হবে। নিচের ধাপ অনুসরন করুন।
টোকেন দিয়ে ভোটার আইডি বের করার নিয়ম।
টোকেন দিয়ে ভোটার আইডি বের করতে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ সাইটে টোকেন নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে অ্যাকাউন্ট করুন, এরপর স্থানীয় ঠিকানা যাচাই করে মোবাইল নাম্বার ভেরেফিকেশন ও ফেস ভেরিফিকেশন করে তৎক্ষণাৎ আপনার ভোটার আইডি বের করুন।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করার জন্য! আপনি এই ওয়েবসাইটে মোট দুটি উপায়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার।
- টোকেন, ফরম, নাম্বার দিয়ে।
উপরের তিনটি তথ্য একই আপনি এই দুটি উপায়ে অবলম্বন করে এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেহেতু আমরা নতুন ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করব সেই কারণে ফরম নাম্বার বা টোকেন দিয়ে আমাদেরকে একাউন্টে তৈরি করতে হবে।
এবং অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সম্পুর্ণ করতে আপনাকে স্থানীয় ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পুর্ণ করতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনাকে (মুখ মন্ডল) ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে। অর্থাৎ যার স্লিপ নাম্বার দিয়ে আপনি ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করতে যাচ্ছেন অবশ্যই তার ফেস ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে।
টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে টাকা লাগে।
দোকান থেকে আইডি কার্ড বের করতে কোন প্রকার টাকা পয়সা প্রয়োজন হবে না। একদম বিনামূল্যে এটি আপনি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে একটি অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ফোনে ইন্সটল করতে হবে যার নাম হচ্ছে এনআইডি ওয়ালেট। এটি ব্যবহার করে আপনাকে ফেস ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত কোনো সংশোধিত কাজ না হলে আপনাকে কোন উপকার টাকা-পয়সা খরচ করতে হবে না ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করার জন্য। যেকোনো সময় আপনি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য উত্তোলন করতে পারবেন ঘরে বসে পিডিএফ আকারে।
অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যা আপনি ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার অথবা ফোন নাম্বার দিয়ে করতে পারবেন। এবং প্রতিবার আপনাকে অ্যাকাউন্ট থেকে কপি উত্তোলন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফেস verification করতে হবে।
আরোও পড়ুন: ভোটার আইডি সংশোধন করার নিয়ম।
এবং এটি আপনি পিডিএফ আকারে আপনার মোবাইল ফোনে বা আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ পরবর্তী সময় যদি আপনি এটি মোবাইল ফোন বা পিডিএফ থেকে আপনার হাতে নিতে চান এক্ষেত্রে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা খরচ করে এটি উত্তোলন করে নিতে হবে।
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন! কিভাবে টোকেন দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে সংরক্ষণ করা যায়। যদি আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টে আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আমরা চেষ্টা করবো মতামত অনুযায়ী সমস্যা সমাধান করো।