Gov Certificate

ওয়ারিশ সনদ ফরম ইউনিয়ন পরিষদ।

Warish Sanad Union Parishad

ওয়ারিশ সনদ ফরম ইউনিয়ন পরিষদ। সম্মানিত পাঠক আমাদের এই আর্টিকেল হতে জানতে পারবেন ওয়ারিশ সনদ সম্পর্কে! কিভাবে এটি ইউনিয়ন পরিশোধ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। এবং এর কিছু নিয়মনীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

বি: দ্রব্য: আর্টিকেলটির সকল তথ্য অনলাইন থেকে নেওয়া হয়েছে। কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যয় আপনার ইউনিয়ন, কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশন বা একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর থেকে পরামর্শ নিবেন।

ওয়ারিশ সনদ ইউনিয়ন পরিষদ।

ওয়ারিশ সনদ কি ? ওয়ারিশ সনদ হলো এমন একটি সনদ যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করার জন্য জারি করা হয়। এই সনদটিতে উত্তরাধিকারীদের নাম, তাদের উত্তরাধিকার সূত্র এবং তাদের প্রাপ্য অংশ উল্লেখ থাকে। ওয়ারিশ সনদটি জারি করে স্থানীয় সরকার অথবা আদালত।

ওয়ারিশ সনদপত্র
ওয়ারিশ সনদপত্র

যদি আপনি ইউনিয়ন পরিষদ হতে ওয়ারিশ সনদ আবেদন করেন তাহলে আপনার কি কি কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে! আমাদের দেশে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারের সকল ওয়ারিশ তাদের প্রাপ্য অধিকার গ্রহন করবে। এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে ওয়ারিশ সনদ।

সম্পত্তি সমান ভাগের জন্য ওয়ারিশ সনদ অনেক প্রয়োজনীয় একটি ডুকমেন্ট। যদি সম্পত্তি ভাগাভাগিতে কোনো সমস্যা হয় এবং আপনার যদি ওয়ারিশ সনদ থাকে তাহলে আপনাকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে অবশ্যই মেনে নিতে হবে।

ওয়ারিশ সনদ ফরম ইউনিয়ন পরিষদ।

ওয়ারিশ সনদ কোথায় পাওয়া যাবে ! এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যদি আপনি কোনো ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনি যেখানে স্থানে বসবাস করেন সেটি কোনো একটি ইউনিয়ন / সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে রয়েছে। যেটিই হোক না কেনো আপনি সেখানে গিয়ে ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সনদ এর জন্য আবেদন করবেন।

ওয়ারিশ সনদ ইউনিয়ন পরিষদ নমুনা ছবি:

ওয়ারিশ সনদ ইউনিয়ন পরিষদ ফরম নমুনা
ছবিঃ ওয়ারিশ সনদ ইউনিয়ন পরিষদ ফরম নমুনা

এছাড়াও অনলাইনে আপনি ওয়ারিশ সনদপত্র আবেদন করতে পারবেন। এ বিষয় নিয়ে পরবর্তী আর্টিকেল আমরা জানার চেষ্টা করব অনলাইনে কিভাবে ওয়ারিশ সনদপত্র আবেদন করতে হয়।

আরোও পড়ুন:  অনলাইন প্রত্যয়ন পত্র আবেদন।

ওয়ারিশন পত্র আবেদন করতে বেশ কিছু কাগজপত্র এবং তথ্য আমাদের প্রয়োজন হতে পারে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি একটি ওয়ারিশান কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারবেন। সাধারণত এটি করতে হয় টাকা প্রয়োজন হয় না তবে কিছু টাকা প্রয়োজন হতে পারে যার থেকে আপনি এই সনদটি উত্তোলন করবেন তাকে দিতে হবে।

আর যদি আপনি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করেন এর জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ফি জমা দিতে হবে। তো এখন আমরা জানার চেষ্টা করব ওয়ারিস সনদপত্র তৈরি করতে কি কি লাগে।

ওয়ারিশ সনদ তৈরি করতে কি কি লাগে।

মৃত ব্যক্তির ইস্থাবর/অস্থাবর যেকোনো সম্পত্তি বন্ধনের জন্য অবশ্যই ওয়ারিশিয়ান সনদপত্র প্রয়োজন হবে যদি আপনি সেখানে উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চান।

ওয়ারিশ সনদপত্র তৈরি করতে যে সমস্ত কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে এবং সেই তথ্যগুলি সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময় আপনি আপনার সিটি কর্পোরেশন বা কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিবেন। তারা সম্পূর্ণ যাচাই-বাছাই করে আপনাকে সনদ প্রদান করবে।

ওয়ারিশ সনদ তৈরি করতে যা যা লাগবে:

  • মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদ।
  • মৃত ব্যক্তির NID বা জন্ম সনদ।
  • মৃত ব্যক্তির, স্ত্রী, ছেলে ,মেয়ে , ভাই, বোন, সকলের জন্ম তারিখ।
  • মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির দলিল। (যদি থাকে)
  • মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টনের সম্মতিপত্র। (যদি থাকে)

এই সমস্ত কাগজপত্র অবশ্যই সংরক্ষণ করবেন। তবে চেষ্টা করবেন সকলের জন্ম নিবন্ধন সম্ভব বা ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণ করার। এছাড়াও আপনাকে কিন্তু জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

ওয়ারিশ সনদ ফরম নমুনা ইউনিয়ন পরিষদ।

উপরোক্ত তথ্যগুলো জমা দেওয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই একটি আবেদন জমা দিতে হবে যেখানে আপনি এই তথ্যগুলি উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন। পরবর্তী সময়ে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ / কাউন্সিলর সিটি কর্পোরেশন এর মাধ্যমে আপনাকে একটি ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদান করবে।

ওয়ারিশ সনদ আবেদন নমুনা:

আমি, [আপনার নাম], [আপনার ঠিকানা] এর বাসিন্দা, [মৃত ব্যক্তির নাম], [মৃত ব্যক্তির ঠিকানা] এর মৃত্যুর বিষয়ে আপনাকে নিশ্চিত করতে এই আবেদন করছি। মৃত ব্যক্তি আমার [সম্পর্ক], এবং আমি তার একমাত্র [সম্পর্ক] উত্তরাধিকারী। আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি যে আপনি আমাকে একটি ওয়ারিশ সনদ প্রদান করুন যা আমাকে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টনে সক্ষম করবে।

মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদের অনুলিপি আমি সংযুক্ত করছি। আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে আমি মৃত ব্যক্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী, এবং আমি কোনও আইনি জটিলতায় জড়িত নই।

আপনার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার বিশ্বস্ত,
[আপনার নাম]

এটি যদি আপনি আবেদন করেন পরবর্তী সময়ে তারা সঠিকভাবে এটি যাচাই-বাছাই করবেন এবং আপনাকে ফি প্রদান করতে হবে। সর্বশেষ তারা সবকিছু সঠিকভাবে বুঝতে পারে এবং যাচাই-বাছাই ক্ষেত্রে যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে আপনাকে ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদান করবে।

ওয়ারিশ সনদপত্র কতবার পাওয়া যায়।

অনেকের হয়তো বা প্রশ্ন থাকতে পারে ওয়ারিশ সনদপত্র কতবার উত্তোলন করা যায়! এর উত্তর হল আপনি চাইলে এটি উত্তোলন করতে পারবেন কেননা এক ভাই এটি উত্তোলন করল অন্য ভাইয়ের কাছে নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেও ইউনিয়ন পরিষদ কাউন্সিলর বা সিটি কর্পোরেশন থেকে পুনরায় উত্তোলন করতে পারবে।

অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যদি সনদপত্র উত্তোলন করতে চান আপনার সকল ধরনের তথ্য সঠিক প্রমাণ করতে হবে। যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে বা কোন সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু আপনাকে তারা ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদান করবে না।

আরোও পড়ুন: ওয়ারিশ সনদ অনলাইনে আবেদন।

আমরা পরবর্তী আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করব অনলাইনে কিভাবে ওয়ারিশ সনদপত্র আবেদন করা যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি আপনার স্থানীয় কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ, বা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে যদি সনদ উত্তোলন করেন।

ওয়ারিশ সনদ কি বাতিল করা যায়।

অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে ওয়ারিশ সনদপত্র কি বাতিল করা যায় ? উত্তর: অবশ্যই করা যাবে। তবে এর জন্য সঠিক কাগজপত্র প্রমাণ করতে হবে। অনেকের দেখা যায় শুধুমাত্র লোভের বশবর্তী হয়ে নিজের নামে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে। ভাই বা বোনের নাম সেখানে উল্লেখ্য করে না।

যদি এরকমটা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, কাউন্সিলর, বা সিটি কর্পোরেশন এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এবং তাদেরকে এই বিষয়ে অবগত করতে হবে যে আপনাকে বাদ রেখে আপনার বাবার থাকা উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশ সনদ তৈরি করা হয়েছে।

আরোও পড়ুন: অনলাইনে পারিবারিক সনদ আবেদন।

এবং পরবর্তী সময়ে তারা আপনাকে নিজের সোনা দিবে যে কি কি ধাপ আপনাকে অবলম্বন করতে হবে ওয়ারিশ সনদটি বাতিল করার জন্য। এক্ষেত্রে আপনি একজন আইনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কেননা সে আপনাকে আরো ভালো পরামর্শ দিতে পারবে।

ওয়ারিশ সনদের মেয়াদ কতদিন।

ওয়ারিশ সনদের মেয়াদ নেই। ওয়ারিশ সনদ একটি আইনি দলিল যা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টনের জন্য প্রয়োজনীয়। ওয়ারিশ সনদ পেলে আপনি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করতে পারেন। ওয়ারিশ সনদ বাতিল না করা পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।

এবং এটি ততক্ষণ পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে যতক্ষণ না এটি সরকারিভাবে বাতিল করা হচ্ছে। যদি কোন সময় বাতিল করা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময় সেই সহান অনুযায়ী কোন কাজ কর্মকাণ্ড করা যাবে না। নতুন করেছে সোনাপটি তৈরি করা হবে সেই অনুযায়ী সকল ভাগ বাটোয়ারা হবে।

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টে আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। চেষ্টা করব সে সম্পর্কে আপনাকে সঠিক তথ্য শেয়ার করার।

eservbd

আমি তাহমিদ ইসলাম, এটি আমার বাংলা ব্লগ। যেখানে আমি প্রতিনিয়ত আমার জানা বিষয়গুলি ব্লগ-পোস্ট আকারে প্রকাশ করি। এই সাইটে হতে আপনি ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরকারি সার্টিফিকেট সম্পর্কে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ।

Related Articles

Back to top button