বিধবা ভাতা আবেদন অনলাইন।
বিধবা ভাতা আবেদন অনলাইন। যদি আপনি কোনো মহিলা ব্যক্তির জন্য বিধবা ভাতা আবেদন করতে চান এক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন কিভাবে বিধবা কথা আবেদন করতে হয়। ছবিসহ বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করা হবে। তাই অনুরোধ থাকবে এই বিশেষ সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেল দেখুন।
নোট: যারা বিধবা ভাতা বা বিধবা সহায়তা গ্রহণ করতেছেন তারা দয়া করে এর জন্য নতুন করে আবেদন করবেন না। শুধুমাত্র নতুন প্রার্থীদের জন্য আবেদন করা আবশ্যক।
বিধবা ভাতা আবেদন অনলাইন।
আপনি বেশ কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করে বিধবা ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আমরা সম্পূর্ণ জানার চেষ্টা করব এর জন্য আমাদের কি কি ডকুমেন্ট বা কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন কিভাবে বিধবা ভাতা আবেদন করতে হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য একটি ভাতার বেবস্থা করেছে। যারা এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তারা চাইলে আবেদন করতে পারবে। সকল তথ্য সঠিক থাকলে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং সরকারী সহায়তা প্রদান করা হবে। অবশ্যই নতুন প্রার্থীদের জন্য অনলাইনে আবেদন করা জরুরী।
আরোও পড়ুন: বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে।
প্রথমে আমরা বিধবা ভাতা আবেদন সম্পর্কে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করব। অবশ্যই আপনার এগুলো জানা পূর্বের প্রয়োজন কেননা অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। আবেদন করার নিয়ম এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ থাকবে আশা করি আপনি এই আর্টিকেল হতে বিধবা ভাতা অনলাইনে আবেদন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
বিধবা ভাতা আবেদন সংক্রান্ত তথ্য।
অনেকের কাছে কিছু বিষয় পরিষ্কার নয়! যেমন বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য কাগজপত্র এবং টাকা পয়সা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে জমা দিতে হয়, এটি আবেদন করতে অনেক টাকা খরচ হতে পারে, এই ধরনের ভুল চিন্তা অনেকের মধ্যে রয়েছে।
যদি আপনার মধ্যে এই ধরনের কোন ভুল চিনতে থাকে তাহলে আমি আপনাকে বলব বিধবা ভাতা আবেদন করতে কোন প্রকার টাকা পয়সা প্রয়োজন হয় না। তবে অবশ্যই আপনার বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে যা ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে নিজেই ঘরে বসে বিধবা ভাতা আবেদন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে কিছু ধাপ বা নিয়ম রয়েছে যা অবলম্বন করে আপনি নিজেই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সকল তথ্য সঠিক থাকলে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করিলে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এবং গ্রহণযোগ্য পাওয়ার পরবর্তী সময় হতে সরকারি সহায়তা বিধবা ভাতা ভোগ করা যাবে।
কোন প্রকার কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে বিভিন্ন অফিস দপ্তরে গিয়ে বলতে হবে না! কেননা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসে বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে। এবং পরবর্তী সময়ে আবেদন ফরম প্রিন্ট করে সঙ্গে আপনার ইউনিয়ন/সিটি কর্পোরেশন চেয়ারম্যান অথবা মেয়র হতে একটি সাক্ষর গ্রহণ করে পরবর্তী সময় প্রিন্ট কপি ও আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সহ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিবেন।
অনলাইনে যাচাই এবং পরবর্তী আপনার তথ্যের পর যদি সঠিক মনে হয় তাহলে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হবে। এবং আপনি সরকারী সহায়তা করতে পারবেন। যদি আপনার কাছে স্মার্ট মোবাইল ফোন না থাকে তাহলে কিভাবে বিধবা তার জন্য আবেদন করবেন।
গ্রামে কিভাবে বিধবা ভাতার আবেদন করবেন।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রামে বিধবা আবেদন করবে কিন্তু স্মার্ট ডিভাইস না থাকার কারণে আবেদন করতে পারছে না। এক্ষেত্রে আপনি দুটি অবলম্বন করতে পারেন ওয়ার্ড, ইউপি সদস্যর সাথে যোগাযোগ রাখবেন এবং এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলে রাখবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি দেখা যায় যে সমস্ত কাগজ পত্র চাইবে তা অবশ্যই জমা দিবেন।
পরবর্তী সময়ে আপনার হয়ে ইউপি সদস্য অনলাইনে আবেদন করবে। এক্ষেত্রে কোন টাকা পয়সা লাগানোর নয় তবে যদি আবেদন করার ক্ষেত্রে টাকা চায় তাহলে হয়তো বা কিছু টাকা দিতে হবে। কিন্তু সরকারিভাবে আবেদন করতে কোন প্রকার টাকা-পয়সা প্রয়োজন হয় না। (এটি অবশ্যই মনে রাখবেন)
দ্বিতীয় উপায় পরিবারের কোনো সদস্যর স্মার্টফোন থাকলে সেদিন ব্যবহার করে অনলাইনে আপনি বয়স্ক ভাজার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোন প্রকার টাকা পয়সার প্রয়োজন নেই সর্বশেষ আপনি আবেদন কপিটি সংরক্ষণ করবেন। এটি আপনি জেলা মাঠকর্মী বা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দেন তাহলে আপনার কাজটি আরো সহজ হয়ে যাবে।
বিধবা ভাতার আবেদন কিভাবে করতে হয়।
বিধবা ভাতা যদি আপনি নিজে আবেদন করতে স্মার্ট ডিভাইস প্রয়োজন হবে এবং ইন্টারনেট প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আবেদনকারী তথ্য অর্থাৎ যার জন্য আবেদন করতেছেন তার সকল সঠিক তথ্য এখানে দিতে হবে।
বিধবা ভাতা আবেদন ফরম আপনাকে দেওয়া হবে যা সঠিকভাবে সম্পূর্ণ ফর্মটি আমাদেরকে পূরণ করতে হবে। এখানে একটি ভুল তথ্য প্রদান করলে এবং পরবর্তী সময় যাচাই করার সময় যদি এটি প্রমাণিত হয় তাহলে আপনার আবেদনটি বাতিল করা হতে পারে।
অবশ্যই বিধবা ভাতা পার্থীকে সঙ্গে নিয়ে আবেদন করবেন। এবং তার থেকে সকল তথ্য সঠিকভাবে গ্রহণ করে আবেদনটি জমা দিবেন।
অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম।
বিধবা ভাতা আবেদন অনলাইন করতে https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication সাইটের প্রবেশ করে “বিধবা ভাতা” অপশনটি যাচাই করে সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এবং ইউনিয়ন/সিটি কর্পোরেশন মেয়র দ্বারা সাক্ষর করে নিতে হবে। উপজেলা মাঠকর্মী বা সমাজসেবা কার্যালয় আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।
ধাপ ১: বিধবা ভাতা আবেদন ওয়েবসাইট।
অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার ওয়েবসাইট https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication এখানে প্রবেশ করে “বিধব ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা” নির্বাচন করে ফরমটি পূরণ করতে হবে।
ধাপ ২: বিধবা ভাতা আবেদন ফরম পূরণ।
এখানে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। এটি ছাড়া আবেদন করা যাবে না।
ব্যক্তিগত তথ্য: এখানে আপনার ভোটার আইডি তথ্য দিতে হবে যেমন, ভোটার আইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ। এটি দিয়ে যাচাই অপশনে ক্লিক করলে আপনার nid সকল তথ্য এখানে চলে আসবে। এবং এরপর এখানে আরো একটি নতুন ফরম আসবে যেটা সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত: এখানে আপনাকে যে সকল তথ্য দিতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, খানার সদস্য, বৈবাহিক অবস্থা, বাসস্থান, ভূমির মালিকানা সহ আরো যেসকল বক্সের অপশন রয়েছে তা সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
যোগাযোগ তথ্য: আপনার যোগাযোগ তথ্য দিতে হবে, বর্তমান ঠিকানা ও স্থানীয় ঠিকানা ( NID অনুযায়ী এই সকল তথ্য দিতে হবে) এক্ষেত্রে যাচাই সহজ হয়ে যাবে। এবং যে নাম্বারে আপনি ভাতা পেতে ইচ্ছুক সেই ১১ ডিজিটের (বিকাশ/নগদ) মোবাইল নাম্বার দিতে হবে
অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য: এটি অবশ্যই সঠিক ভাবে দেখে একটি একটি করে পূরণ করবেন। কারণ কোনো ভুল তথ্য সাবমিট করলে আবেদন যাচাই সমস্যা হতে পারে। তাই ভালো ভাবে ফরমটি পূরণ করতে হবে। যেনো ভুল না থাকে।
বিধবা ভাতা আবেদন ফরম PDF
সংরক্ষণ: সর্বশেষ সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করে আপনি আবেদনটি প্রিন্ট করে নিবেন। এটির সঙ্গে আপনাকে আরো কিছু বিষয় যোগ করতে হবে। যেমন ইউনিয়ন বা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
আরোও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন নিয়ম ২০২৩
আরোও সহজে করতে ভিডিওটি দেখুন:
বিধবা ভাতা কত টাকা ২০২৩
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য এই ভাতার ব্যাবস্থা করেছে সরকার, প্রতি ব্যাক্তির জন্য ৫০০ মাস ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ ২০২৩/২৪ বছরে আরো মাসিক ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই এখন মাসিক ৫৫০ টাকা হিসেব পাবে বিধবা ভাতা।
বিধবা ভাতার টাকা কবে আসবে ২০২৩: এটির নির্ধারিত কোনো সময় নেয়। তবে ৩মাস পর পর সাধারণত এটি মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ/নগদ) এর মাধ্যমে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।