বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে। 2023
বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে! সম্মানিত পাঠক যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা আজকে আলোচনা করব বয়স্ক ভাতা আবেদনের ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এবং কারা কারা এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধাদের জন্য বেশ কয়েকটি ভাতা ব্যবস্থা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বয়স্ক ভাতা। এটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক আবেদন করতে পারবে তবে এর জন্য আপনার বেশ কিছু কাগজপত্র এবং নিম্নলিখিত বয়স ও পরবর্তী লোকরাই কিন্তু এই বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে পারবেন।
বয়স্ক ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
(Boyosko vata 2023) প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি সময়ে এই ভাতার জন্য আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি নিকটস্থ ইউপি সদস্য , বা ওয়ার্ড কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ রাখেন। অথবা আপনি চাইলে আপনার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন বয়স্ক ভাতার আপডেট সম্পর্কে জানার জন্য।
আরোও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন নিয়ম ২০২৩
বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য খুব বেশি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় না। যদি আপনার কাছে সাধারণ কিছু কাগজপত্র থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এখানে সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি দেখতে হবে সেটি হল বয়স সীমা। অর্থাৎ যার জন্য আপনি বয়স্ক ভাতাটি আবেদন করতে চাচ্ছেন অবশ্যই তার বয়স নিম্নলিখিত নির্ধারিত হতে হবে।
এবং অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড না থাকে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আপনার আরো বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন হবে আবেদনের ক্ষেত্রে।
বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য বয়স সীমা কত।
বয়স্কভাতা আবেদনের জন্য বয়সসীমা
পুরুষ: ৬৫ উর্ধ্বে হতে হবে (NID) অনুযায়ী।
নারী: ৬২ উর্ধ্বে হতে হবে (NID) অনুযায়ী।
চলুন এখন আমরা জানার চেষ্টা করব বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য বয়স সীমা কত প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে কিন্তু বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন আপনার পরিবারের যে কারো জন্য। তবে তার বয়স অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্ত হতে হবে। পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে বয়স নির্বাচন করা হয়েছে।
পরিবারে যে কারো বা আপনার গ্রামের যে কারো বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে অবশ্যই তার ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সঠিক হতে হবে। এবং যখন আপনি সঠিক বয়সে উৎপন্নতো হবে তখন কিন্তু আপনাকে নির্বাচন করা হবে। তাহলে চলুন দেখি নেয় বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য পুরুষ এবং মহিলার বয়সসীমা কত।
বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য বয়স কত লাগে:
বয়স্ক ভাতা পুরুষ: বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ হতে হবে। অর্থাৎ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী বয়স অবশ্যই ৬৫ বছর সম্পূর্ণ হতে হবে। এখানে যদি বয়স কম থাকে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার আবেদনটি বাতিল করা হবে।
বয়স্ক ভাতা মহিলা: মহিলাদের জন্য বয়স্ক ভাতা আবেদনের বয়সসীমা ৬২ বছর। অর্থাৎ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী যদি আপনার বয়স ৬২ বছর হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনি তার জন্য বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন।
বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে।
বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে প্রয়োজন: ২ কপি ছবি ,জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, একটি সচল বিকাশ একাউন্ট নাম্বার। এই কয়েকটি কাগজপত্র ব্যবহার করে আপনি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া আরো বিস্তারিত বলতে গেলে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে জানতে হবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে। সাধারণত আপনি আপনার ইউনিয়নের মেম্বার বা চেয়ারম্যানের সহায়তা গ্রহণ করে খুব সহজে বয়স্কতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি সমস্যা হয় তাহলে অনলাইনে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে।
বয়স্ক ভাতা আবেদনে প্রাপ্তির যোগ্যতা।
- স্থানীয় গ্রাম / মহল্লার বাসিন্দা হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) থাকতে হবে।
- বয়স, পুরুষ ৬৫ এবং মহিলা ৬২ হতে হবে।
- বার্ষিক আয় অনূর্ধ্ব ১০ হাজার টাকা হতে হবে।
- একটি সচল বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
- সকল তথ্য সঠিক থাকিলে আবেদন গ্রহণ হবে।
উপরোক্ত এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখবেন। কেননা বর্তমান সময়ে যদি আপনি বয়স্ক থাকার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে এই বিষয়গুলি আপনার জানা প্রয়োজন। এই সকল তথ্য যদি আপনার সঠিক থাকে তাহলে আপনি নিকটস্থ ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন।
কোন ব্যাক্তির বয়স্ক ভাতা আবেদন বাতিল হবে।
এখানে বেশ কিছু শ্রেণীর লোক বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এবং যদি আপনি বয়স্ক ভাতর জন্য আবেদন করেন এক্ষেত্রে আপনার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করা হবে। কেননা এই নিয়মগুলি বাংলাদেশ সরকার থেকে গঠিত হয়েছে। তাদের নিয়ম অনুসরণ করবে যারা তাদের শুধু বয়স্ক ভাতা জন্য গ্রহণযোগ্য হবে।
বয়স্ক ভাতা পাবে না কোন শ্রেণীর লোক:
- বয়সসীমা পূরণ হয়নি (NID) অনুযায়ী।
- বাংলাদেশী নাগরিক না হলে।
- সরকারি অন্য কোন ভাতা বা সুবিধা পাচ্ছেন।
- প্রার্থী মানসিক বা শারীরিকভাবে সক্ষম হলে।
- প্রার্থী কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে।
- কোনো ভুয়ো তথ্য জমা দিলে।
এই কয়েক শ্রেণীর লোক বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এবং আবেদন করলেও পরবর্তী সময় তাদের আবেদন প্রত্যাখান বা বাতিল করা হতে পারে। অবশ্যই উপরে নিয়ম অবলম্বন করতে হবে আবেদনের ক্ষেত্রে এবং সকল সঠিকভাবে জমা দিতে হবে। বিস্তারিত আরো জানুন;
যদি কোন ব্যক্তির পুরুষ ৬৫ এবং মহিলা ৬২ বছর না হওয়ার পরও আপনি বয়স্ক ভাষার জন্য আবেদন করেন এক্ষেত্রে আপনার আবেদনটি বাতিল করা হবে। অবশ্যই আপনার বয়সের ঊর্ধ্বে বা সর্বনিম্ন নিম্নলিখিত বয়স হতে হবে।
আরোও পড়ুন: বয়স্কভাতা অনলাইনে আবেদন
যদি আপনি বাংলাদেশী নাগরিক না হন অর্থাৎ অন্য দেশে বসবাস করেন! এক্ষেত্রে আপনি বয়স্কতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আপনার আবেদন বাতিল করা হবে তথ্য যাচাইয়ের সময়।
যদি আপনি অন্য কোন সেবা পেয়ে থাকেন অর্থাৎ সরকারি কোনো পেনশন বা ঢাকা যদি পেয়ে থাকেন এক্ষেত্রে আপনি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। মোট কথা বলতে গেলে সরকারি কর্মচারী বয়স্ক পাতার আওতাভুক্ত নয়। কারণ তারা সরকারিভাবে অন্য একটি ভাতা গ্রহণ করে।
প্রার্থী যদি মানুষের বা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেননা তার জন্য প্রাপ্ত ভাতা হলো প্রতিবন্ধী ভাতা। মানসিক ভারসাম্যহীন যে ভাতাটি রয়েছে বাংলাদেশ সরকার প্রদান করে।
যদি কোন ব্যক্তির নামে মহিলা অথবা পুরুষ, কোন প্রকার আইনি জটিলতা থাকে যেমন; দোষী, কারাদণ্ড ব্যক্তি, অথবা কোন অপরাধের সাথে যুক্ত থাকলে বয়স্ক ভাতা আবেদন বাতিল করা হবে।
বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে যদি আপনি কোন প্রকার ভুল ডকুমেন্ট বা ফেক কাগজপত্র দাখিল করেন এবং এটি বাছাইকৃত সদস্য যদি বুঝতে পারে তাহলে আপনার আবেদনটি সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করা হবে।
বয়স্ক ভাতা কি অনলাইনে আবেদন করা যায়।
অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে বয়স্ক ভাতা কি অনলাইনে আবেদন করা যায় ? উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই আপনি অনলাইনে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বিষয় নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে পরবর্তী আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে ভিডিও সহ বিস্তারিত।
সাধারণত আপনি যখন উপরোক্ত সঠিক তথ্য ওয়ার্ড মেম্বার, কাউন্সিলর / ইউনিয়ন পরিষদ/ সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করে জমা দিবেন তারপরও যদি সময় তারা এক ধাপে একটি যাচাই বাছাই করবে। এবং তাদের কাছে সঠিক মনে হলে সকল তথ্য পরবর্তী সময়ের উপর মহলে এই কাগজপত্র দাখিল করবেন।
এবং সর্বশেষ যাচাই-বাছাইয়ের পর যদি আপনি এখানে সঠিক প্রমাণিত হন তাহলে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় আপনার আবেদনটি বাতিল করা হতে পারে। যদি আপনার বয়স্ক ভাতার আবেদনটি গ্রহণ করা হয় এক্ষেত্রে পরবর্তী আপনি আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আমাদের আর্টিকেল এই পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন নতুন বিষয়গুলি জানার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।