Bhata

বয়স্কভাতা অনলাইনে আবেদন ২০২৩| Boyosko Vata online application

Boyosko vata Online apply

সুপ্রিয় দর্শক এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম। ইতিপূর্বে বয়স্ক ভাতা সম্প্রতি আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটের প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে আলোচনার বিষয় ছিল বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে ইত্যাদি।

এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব কিভাবে আপনি অনলাইনে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করবেন। কিভাবে সকল তথ্য সঠিকভাবে সাবমিট করবেন ও সর্বশেষ পিডিএফ ফাইলসহ যাবতীয় তথ্য কিভাবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রদান করতে হবে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বয়স্কভাতা অনলাইনে আবেদন ২০২৩।

আমরা আমাদের প্রথম আর্টিকেলে আলোচনা করেছি বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে। আপনি যদি এটি এখনো না দেখে থাকেন অবশ্যই দেখে নিবেন! কেননা বয়স্ক কথা আপনাদের জন্য বেশ কিছু তথ্য আমাদের অবশ্যই জানতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে সঠিকভাবে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরোও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন নিয়ম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বৃদ্ধ ও বয়স্ক পুরুষ মহিলাদের জন্য সরকারি ভাতা বা সহায়তা প্রদান করে থাকে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি জেলা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন যে সকল ব্যক্তির রয়েছে তাদেরকে এই সহায়তা দিয়ে আসতেছে। ঘরে বসে আপনি এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন যদি আপনি সকল নিয়মাবলী আওতাধীন হয়ে থাকেন।

Boyosko Vata online application

অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য আমাদের যা যা প্রয়োজন হবে। এই তথ্য ও সেবা ব্যবহার করে আপনি আবেদন করতে পারবেন খুব সহজেই।

  • মোবাইল কম্পিউটার।
  • যাবতীয় কাগজপত্র।
  • আবেদন কারি ব্যাক্তি।

অবশ্যই এগুলো আমাদের প্রয়োজন হবে। কেননা যার জন্য আপনি বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন তার থেকে অনেক ধরনের তথ্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যা বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরমে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।এই তথ্য শুধু সেই ব্যক্তি নিতে পারবে যার জন্য আপনি এটি আবেদন করছেন।

তাহলে চলুন এখন আমরা দেখে নেব বয়স্ক ভাতা কিভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এছাড়াও আপনি বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করার পরবর্তী সময় কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং কিভাবে সঠিকভাবে কাগজপত্র জমা দিবেন।

বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম।

বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে ভিজিট: https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication এখানে আপনার যাবতীয় তথ্য যেমন: ভোটার আইডি, ব্যাক্তিগত তথ্য, বয়স্ক ভাতা তথ্য, ও যোগাযোগ তথ্য দিয়ে বয়স্ক ভাতা আবেদন করা যাবে। এবং পিডিএফ ফাইলটি সমাজসেবা কার্যালয় সকল তথ্য সহ জমা দিতে হবে।

ধাপ ১ঃ বয়স্ক ভাতা আবেদন ওয়েবসাইট।

বয়স্ক ভাতা ওয়েবসাইট অনেকে হয়তো খুঁজতেছেন, অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তিনটি অপশন দেখতে পারবেন আপনি এখানে যেমন;

  • বয়স্ক ভাতা,
  • বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা,
  • প্রতিবন্ধী ভাতা,

এখান থেকে আমাদেরকে নির্বাচন অপশন হতে বয়স্ক ভাতা নির্বাচন করতে হবে। এবং এরপর পেজটি কয়েক সেকেন্ড লোড হবে, এরপর আমাদেরকে আমাদের যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে এই ফরমের মধ্যে।

বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম

ধাপ ২ঃ ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই।

আবেদন প্রার্থীর অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এখানে আমাদেরকে সর্বপ্রথম ভোটার আইডি কার্ডটি প্রদান করতে হবে এর জন্য আপনি NID নাম্বার ও জন্মতারিখ সঠিকভাবে লিখুন।

এরপর যাচাই করুন অপশনে ক্লিক করে কিছুক্ষণ সময় আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে কেননা এর মধ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি যাচাই করবে সার্ভার। এবং এরপর দেখতে পারবেন আপনার যাবতীয় তথ্য এখানে চলে এসেছে।

আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য চলে এসেছে কিন্তু এখানে অনেক ঘর এখনো ফাঁকা রয়েছে। এই বক্স বা ঘরগুলি তথ্য আমাদেরকে পুনরায় প্রদান করতে হবে। এবং অবশ্যই এখানে আপনার একজন নমিনি ব্যক্তির প্রয়োজন হবে। তার জন্ম নিবন্ধন, বা nid কার্ড তথ্য প্রয়োজন হবে। এবং তার মোবাইল নাম্বারটা অবশ্যই এখানে দিতে হবে।

অবশ্যই সকল তথ্য ভালোভাবে দিবেন যে সকল তথ্য আপনার কাছে নেই সেই সমস্ত ঘর বা অপশন ফাঁকা রেখে দিবেন কোন প্রকার সমস্যা হবে না। এবং এখানে আপাতত ছবি আপলোড করার অপশন নেই কিন্তু আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যে ছবিটি রয়েছে তা অটোমেটিক ভাবে বসে যাবে।

ধাপ ৩ঃ বয়স্ক ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত

এরপর বয়স্ক ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য আমাদেরকে এখানে প্রদান করতে হবে। অবশ্যই আমাদেরকে প্রতিটি অপশন বা ঘর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে সঠিক তথ্য দিয়ে। এখানে আমাদেরকে যে সকল তথ্য দিতে হবে।

  • বৈবাহিক অবস্থা,
  • শিক্ষাগত অবস্থা,
  • খনার সদস্য (পুরুষ/মহিলা)
  • বার্ষিক আয়, পেশা,
  • সাস্থ্যগত/ কর্মক্ষমতা,
  • সরকারি/বেসরকারি সহায়তা,
  • ভূমির মালিকানা, বাসস্থান,

বৈবাহিক অবস্থা: যদি আপনি বিবাহিত হন এখান থেকে আপনাকে বিবাহিত নির্বাচন করতে হবে। অন্যথায় অবিবাহিত হলে আপনাকে সঠিকভাবে অবিবাহিত অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যদি আপনার পূর্বের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে এক্ষেত্রে আপনি উল্লেখ্য করে দিতে পারেন এখানে। অন্যথায় আপনার যদি কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকে তাহলে নিরক্ষর অপশনটি নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপে যাবেন।

খনার সদস্য: আপনার পরিবারের কতজন সদস্য রয়েছে যারা। এখানে তিনটি অপশন রয়েছে, (পুরুষ, মহিলা, হিজড়া) অবশ্যই সঠিকভাবে নির্বাচন করবেন। পরবর্তী সময়ে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি হলো কিন্তু সমস্যা হতে পারে।

বার্ষিক আয়, পেশা: আপনার বার্ষিক আয় কত টাকা তা এখানে নির্বাচন করতে হবে। যদি ২৪ হাজার এর নিচে হয় তাহলে এটি নির্বাচন করতে হবে। এবং এর ওপরে বা উর্ধ্ব যদি থাকে তাহলে সেটি নির্বাচন করে দেবেন। এছাড়া আপনার পেশা এখানে উল্লেখ্য করবেন, যদি কোনো পেশায় অন্তর্ভুক্ত না থাকে কর্মহীন নির্বাচন করে দিবেন।

সাস্থ্যগত/ কর্মক্ষমতা: স্বাস্থ্যগত অবস্থায় বা শারীরিক অবস্থা এখান থেকে আমাদেরকে যাচাই করতে হবে তবে বয়স্ক ভাতা আবেদন ক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পূর্ণ অক্ষম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এটি ব্যতীত অন্য অপশন গুলিও ব্যবহার করতে পারেন।

সরকারি/বেসরকারি সহায়তা: আপনি কি কোন সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পাচ্ছেন ! যেমন: বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মুক্তিযোদ্ধ সম্মানী, যদি এই গুলোর মধ্যে পেয়ে থাকেন এক্ষেত্রে তা নির্বাচন করবেন। আর যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে নাই অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

ভূমির মালিকানা, বাসস্থান: ভূমির মালিকানা অর্থাৎ আপনার নিজস্ব কোন জমি রয়েছে কিনা যদি থাকে তা কি পরিমাণ তা উল্লেখ্য করে দিতে হবে। এবং আপনি বসবাস করতেছেন কোন স্থানে ভাড়া, নিজস্ব, গৃহহীন যা রয়েছে উল্লেখ্য করতে হবে।

ধাপ ৪ঃ যোগাযোগ তথ্য

এরপর আমাদেরকে যোগাযোগ তথ্য এখানে সঠিকভাবে দিতে হবে। মনে রাখবেন এখানকার প্রতিদিন তথ্য আমাদেরকে সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে কেননা একটি তথ্য ভুল হলে হয়তো বা যাচাই করানোর সময় আপনার আবেদনটি বাতিল করা হতে পারে। ভুল কোন তথ্য প্রদান করিলে তাহার আবেদনটি বাতিল করা হবে বলা রয়েছে।

যদি আপনার বর্তমান এবং স্থানীয় ঠিকানা একই হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনার একবার তথ্যগুলি প্রদান করলে এবং পরবর্তী সময় ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিলে হয়ে যাবে। আর যদি দুটি ভিন্ন হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে দুবার তথ্যগুলি প্রদান করতে হবে।

বিভাগ, জেলা , অবস্থান , উপজেলা, গ্রাম / বাড়ী নং, মোবাইল নাম্বার (যে নম্বরে ভাতার টাকা পেতে ইচ্ছুক) মোবাইলের মালিকানা। এ সকল তথ্য সম্পর্কে আশা করি আপনার জানা হয়েছে অবশ্যই সঠিকভাবে তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।

ধাপ ৫ঃ অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য

এই তথ্যগুলি অবশ্যই প্রার্থীর অর্থাৎ যার জন্য আপনি আবেদন করতেছেন তার থেকে নিবেন। কেননা এখানে অনেক ধরনের তথ্য দিতে হবে শুধুমাত্র প্রার্থী এই তথ্যগুলি আপনাকে দিতে পারবে।

যে সকল স্থানে (*) মার্ক রয়েছে অবশ্যই এই ঘরগুলি পূরণ করতে হবে বাধ্যতামূলক। এখানে অনেকগুলি অপশন রয়েছে সবগুলি বলা সম্ভব নয়। যিনি অনলাইনে আবেদন করতেছেন অবশ্যই সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে দেখে তারপর নির্বাচন করবেন।

এবং অবশ্যই তার থেকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজগুলো করতে হবে। কেননা পরবর্তী সময় এইগুলো কিন্তু যাচাইকরণ করা হতে পারে, যদি কোন ভুল তথ্য আপনি প্রদান করেন এক্ষেত্রে আপনার আবেদনটি বাতিল করা হতে পারে।

তাই এটি ভালো হবে আপনি প্রার্থী কে সাথে নিয়ে এই কাজগুলি সম্পন্ন করুন। সবগুলো তথ্য দেওয়ার পর আপনি পুনরায় আবারো সম্পূর্ণ ফর্মটি সঠিকভাবে যাচাই করবেন কোন তথ্য ভুল রয়েছে কিনা। সব কিছু সঠিক থাকলে,

সংরক্ষণ বাটনে চাপ দিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারেন অথবা পিডিএফ আকারে আপনাদের ডিভাইসের সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। এই ফাইলটি কিন্তু আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এটি আমাদের পরবর্তী সময় অন্য কাজে প্রয়োজন হবে।

বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম প্রিন্ট।

এর পরবর্তী সময় আমাদেরকে একটি সংরক্ষণ করে আপনার ইউনিয়ন বা পৌরসভার যে কাউন্সিলর রয়েছে তার থেকে একটি স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে। এটি অবশ্যই আমাদেরকে করতে হবে কেননা তাদের স্বাক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করতে পারবো।

বয়স্ক ভাতা আবেদন শেষ ধাপ।

এরপর আমাদেরকে এই কাগজটি সঙ্গে আপনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র যেমন, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, সহ আরো বিভিন্ন তথ্য একত্র করে আপনার জেলার সমাজসেবা কার্যালয় বা মাঠকর্মী অফিসে জমা দিবেন।

এই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনার বয়স্ক ভাতা আবেদন ধাপ শেষ হয়ে যাবে। এর পরবর্তী আপনার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি আপনার তথ্য সঠিক থাকে এবং কোন প্রকার ভুল তথ্য প্রদান না করে থাকেন আশা করি আপনার আবেদনটি সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে গ্রহণ করা হবে।

এবং এটি গ্রহণ করার পরবর্তী সময় হতে আপনি বয়স্ক ভাতা সহায়তা পাবেন যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়েছিলেন যেমন বিকাশ/নগদ। এর মাধ্যমে প্রতি তিন মাস পর পর আপনাকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

আশা করি এই লেখাটি হতে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এ ছাড়া আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই আমাদের সাথে তা শেয়ার করবেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।

eservbd

আমি তাহমিদ ইসলাম, এটি আমার বাংলা ব্লগ। যেখানে আমি প্রতিনিয়ত আমার জানা বিষয়গুলি ব্লগ-পোস্ট আকারে প্রকাশ করি। এই সাইটে হতে আপনি ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরকারি সার্টিফিকেট সম্পর্কে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ।

Related Articles

Back to top button